করোনাকালীন প্রনোদনা পাওয়ায় শেবাচিমের নার্সদের আনন্দ

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবিকাদের মাঝে করোনাকালীন সেবা প্রদানের জন্য সরকারি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে।
করোনাকালীন সেবার স্বীকৃতি পেয়ে আনন্দের বন্যা বইছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় করোনা রোগীদের সেবা করায় সরকারি প্রতিশ্রুতির প্রনোদনার অর্থ পেয়েছেন তারা। এর ফলে আগামী দিনে করোনাসহ যে কোন প্রাদুর্ভাবে সেবিকারা আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
গত ১৭ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সুশীল কুমার পাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে দেশের ৫টি হাসপাতালের ১ হাজার ৮৫৬ জন সেবিকাকে মোট ৮ কোটি ১৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা প্রনোদনা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের করোনা রোগীদের সেবা করা ৫৯৪ জন সেবিকা পাচ্ছেন ২ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ৯৬০ টাকা। বেতন স্কেল অনুযায়ী সর্বনি¤œ ৩০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রনোদনা পাচ্ছেন তারা।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারের সুপারিশকৃত সারা দেশের ১ হাজার ৮৫৬ জন নার্সকে গত ১৭ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সুশীল কুমার পাল সাক্ষরিত এক চিঠিতে এই প্রনোদনা বরাদ্দ দেয়া হয়। গতকাল রোববার প্রনোদনার চিঠি এবং তালিকা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। প্রনোদনার খবর জানাজানি হলে সেবিকাদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। প্রনোদনার তালিকায় নিজের নাম দেখতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলের স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ (স্বানাপ) কার্যালয়ে ভীড় করেন তারা। এ সময় একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান সেবিকারা।
স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ (স্বানাপ) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে কর্মরত ৫৯৪ জন নার্স এই ভাতার আওতায় এসেছে। যারা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি তাদেরও পর্যায়ক্রমে প্রনোদনার আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত নার্সরা প্রনোদনা ভাতা পেয়ে খুশী হয়েছেন। তাদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। প্রনোদনা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তারা। এই প্রনোদনা আগামীতে যে কোন প্রাদুর্ভাবে সেবিকাদের কাজে আরও উৎসাহিত করবে বলে তিনি মনে করেন।